২০২১ সালে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলা হতে ১৭ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে পয়ালগাছা ইউনিয় পরিষদের পশ্চিম পাশে বরুড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান ক্যাম্পাসটি প্রায় ১.৭০ একর জমির উপর অবস্থিত। সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষার সমন্বয়ে তৎকালীন সরকার ১৯৯৫ সালে এসএসসি(ভোকেশনাল) ও ১৯৯৭ সালে এইচএসসি(ভোকেশনাল) কোর্সে ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে কার্যক্রম চালু করে। উক্ত কোর্সের উদ্দেশ্য ছিল কম শিক্ষিত ও বেকার যুবকদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষিত করে কর্মে নিয়োজিত করা। পূর্ববর্তী ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটকে ২০০৩ সালের শেষের দিকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নামকরণ করা হয়। গ্রাম ও শহরে ছেলে-মেয়েদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বর্তমান সরকার ২০২১ সালে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রি-ভোকেশনাল কোর্স চালু করে। সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রত্যেকটি উপজেলায় ১ টি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ(টিএসসি) নির্মাণের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পের আওতায় প্রথম ধাপে ১০০ টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩২৯ টি টিএসসি নির্মাণ প্রক্রিয়া চলমান। প্রথম ধাপের ১০০ টি টিএসসির মধ্যে বরুড়া টিএসসি ২০২১ সালে স্থাপিত হয় এবং ২০২২ সালে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রি-ভোকেশনাল, ৯ম ও ১০ম শ্রেণি নিয়ে এসএসসি(ভোকেশনাল) এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি নিয়ে এইচএসসি(ভোকেশনাল) শিক্ষাক্রমে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় পাঠদান শুরু করে।
বরুড়া সরকারি টেকিনিক্যাল স্কুল ও কলেজ বরুড়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্র পয়ালগাছাতে একটি মনোরম, খোলামেলা ও নান্দনিক স্থানে প্রায় দুই একর জায়গার উপর অবস্থিত। চারদিকে উচু প্রাচীর দেওয়া ঘেরা বরুড়া টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের রয়েছে এক বিশাল প্রশাসনিক ভবন চার তালা বিশিষ্ট ও একটি পাচ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষনের জন্য রয়েছে চারটি অত্যাধুনিক হেভি ইক্যুইমেন্ট সম্বলিত ওয়ার্কশপ, দুইটি সাইন্স ল্যাব, দুইটি মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটার ল্যাব। শিক্ষার্থীদের খেলাধূলার জন্য রয়েছে এক বিশাল খেলার মাঠ ও শারিরিক শিক্ষা প্রশিক্ষনের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রাউন্ড। কো-কারিকুলাম কার্যক্রম এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে এক বিশাল অডিটেরিয়াম এবং একটি কনফারেন্স/মিটিং রুম। শিক্ষকদের জন্য রয়েছে কমন রুম । টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা একাধিক স্বাস্থ্যসম্মত টয়েলেট, রিফ্রেশ রুম ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস